“হাওরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে হবে”
ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের উদ্যোগে ‘অভিযোজন এক্সপো’ উদ্বোধন
- আপলোড সময় : ২০-০৮-২০২৫ ০৮:৫৮:০০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২০-০৮-২০২৫ ০৮:৫৮:০০ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
ইরা-সিআরইএ প্রকল্পের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী অভিযোজন এক্সপো-উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ে মেলার উদ্বোধন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসাবে এই মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল। পরে মেলা প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ইরা’র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কামরুজ্জামান। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল। এসময় তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের তাগিদে সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা সকল মানুষের দ্বারে দ্বারে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দেয়ার দায়িত্ব পালনে অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই হিসাবে একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসাবে ইরা-ও দায়িত্ব পেয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জের এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইরা ইতোমধ্যে অনেক প্রশংসার দাবিদার হয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম, সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য রুনা শাহিনারা লেইস, প্রথমআলো স্টাফ রিপোর্টার অ্যাড. খলিল রহমান। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার আহসানুল ওয়াহেদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন এনটিভি জেলা প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী।
আলোচনা সভার আগে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে স্থাপিত ১৪টি স্টল পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
ওইদিন দুপুরে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অভিযোজন এক্সপো-উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন, জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল আলোচনার বিষয় ছিল- ‘বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন : আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ এবং সম্মিলিত অভিযোজন সম্ভাবনা।’
ইরা;র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক, জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুল করিম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সাইদা সুলতানা, প্রথমআলো স্টাফ রিপোর্টার অ্যাড. খলিল রহমান।
সভায় ‘হাওর অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন : ঝুঁকি ও স্থানীয় অভিযোজন সম্ভাবনা’ নিয়ে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হক।
প্যানেল আলোচনায় মাছের প্রজনন বৃদ্ধি, কৃষি ফসল বৃদ্ধি, খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিশ্চিত করা, হাওরপাড়ের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য রক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরা সচেতন না হলে, আমরা নিজেরাই বিলুপ্ত হয়ে যাবো। আমাদের পরিবেশ, আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। তারা বলেন, ময়লা-আবর্জনা, বর্জ্য যেখানে সেখানে না পেলে সঠিক স্থানে ফেলতে হবে। পানি বা বায়ু দূষিত যেন না হয়। বক্তারা বলেন, আমাদের সুন্দর জীবন বিনির্মাণে প্রাকৃতিক পরিবেশ, বৃক্ষ রোপণ, বৃক্ষ রক্ষা, জীববৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তারা বলেন, হাওরবাসীর জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করতে হবে সকলে। ওইদিন বিকেলে সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘আলোর দিশারী’ নামে নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের, বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়নের ও ফতেপুর ইউনিয়নের প্রায় ৭০ জন উপকারভোগী অংশ নেন।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর প্রাঙ্গণে অভিযোজন প্রদর্শনী কার্যক্রম, প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং জলবায়ু সহনশীলতা বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ